লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথে বুধবার ভূমধ্যসাগরে নৌকা ডুবে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার ভীমখালী ইউনিয়নের আঁটগাও ফেকুল মাহমুদপুর গ্রামের নূরুল আমিন মেম্বারের ছেলে সাজ্জাদ আহমেদের। ভবিষ্যৎ গড়ার আশায় গত বছরের ডিসেম্বরে দালালের মাধ্যমে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছিলেন তিনি।
পারিবারিক সূত্র জানায়, শান্তিগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাক ইউনিয়নের মো. রফিক দালালের মাধ্যমে লিবিয়া পৌঁছানো পর্যন্ত ৩ লাখ টাকার চুক্তি করেন সাজ্জাদ হোসেন। এরই ধারাবাহিকতায় প্রথমে সাজ্জাদকে দুবাই পাঠানো হয়। সেখানে কিছুদিন অবস্থানের পর চলতি মাসে তাকে দুবাই থেকে লিবিয়া পাঠানো হয়।
লিবিয়া থেকে ইতালি পাঠানোর জন্য আরো ৪ লাখ টাকায় নতুন চুক্তি ক্রেন সাজ্জাদ, সময়মতো টাকাও পরিশোধ করেন। চুক্তি মোতাবেক গত ২৩ জানুয়ারি একটি বোটে সাজ্জাদ আহমেদসহ ২৮০ জনকে নিয়ে লিবিয়া থেকে ইতালির ল্যাম্পাডুসা দ্বীপের উদ্দেশ্যে রওনা হয় দালাল চক্র। বুধবার তার পরিবার বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারে ভূমধ্যসাগরে নৌকা ডুবে সাজ্জাদসহ ৭ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে।
সাজ্জাদের চাচাতো ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সর্বশেষ তার সঙ্গে সোমবার ফোনে কথা হয়েছে। সে বলেছে ইতালিতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে, কোনো সমস্যা নেই। পরবর্তীতে আমরা সাজ্জাদের মৃত্যুর সংবাদ পাই। ছেলের মৃত্যুর খবরে বারবার জ্ঞান হারাচ্ছেন সাজ্জাদের মা। জ্ঞান ফিরলেই ছেলের জন্য কান্নাকাটি করছেন।
নিহত সাজ্জাদের বাবা নূরুল আমিন মেম্বার বলেন, আমার ছেলে সুন্দর একটা ভবিষ্যতের আশায় বিদেশে পাড়ি জমিয়েছিল। এভাবে আমাদের ছেড়ে চলে যাবে ভাবতে পারিনি। এখন আমাদের একটাই দাবি- ছেলের লাশটা যেন শেষবারের মতো দেখতে পারি।